সাংবাদিক রোজিনার মামলা ডিবিতে হস্তান্তর

প্রথম আলোর জ্যেষ্ঠ সাংবাদিক রোজিনা ইসলামের বিরুদ্ধে করা অফিশিয়াল সিক্রেটস অ্যাক্টে মামলার তদন্তভার পুলিশের গোয়েন্দা শাখায় (ডিবি) হস্তান্তর করা হয়েছে। বুধবার দুপুরে ডিবির রমনা অঞ্চলের অতিরিক্ত উপকমিশনার মিশু বিশ্বাস বিষয়টি নিশ্চিত করেন। গত সোমবার রাতে রোজিনা ইসলামের বিরুদ্ধে শাহবাগ থানায় দণ্ডবিধির ৩৭৯ ও ৪১১ ধারায় এবং অফিশিয়াল সিক্রেটস অ্যাক্টের ৩ ও ৫ ধারায় অভিযোগ আনা হয়েছে। মামলার বাদী স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের স্বাস্থ্যসেবা বিভাগের উপসচিব শিব্বির আহমেদ ওসমানী। ওই মামলায় রোজিনা ইসলামকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়। উল্লেখ্য, সোমবার সাংবাদিক রোজিনা ইসলাম সচিবালয়ে পেশাগত দায়িত্ব পালনে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ে যান। সেখানে বেলা তিনটার দিকে মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা তাঁকে একটি কক্ষে আটক করেন। পরে রাত সাড়ে আটটার দিকে রোজিনা ইসলামকে শাহবাগ থানার পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হয়। এদিকে গতকাল মঙ্গলবার রোজিনা ইসলামের রিমান্ড নাকচ করে তাঁকে কাশিমপুর মহিলা কারাগারে পাঠান ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট (সিএমএম) আদালত। আগামীকাল বৃহস্পতিবার তার জামিনের শুনানি। সাংবাদিক রোজিনা ইসলামের গ্রেপ্তারের ঘটনা গুরুত্ব পেয়েছে বিভিন্ন আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমে। ওয়াশিংটন পোস্ট, আল জাজিরা, দ্য হিন্দু, এবিসি নিউজ, বার্তা সংস্থা এপি এবং এএফপিসহ বেশ কিছু আন্তর্জাতিক গণমাধ্যম সংবাদটি প্রকাশ করেছে। মার্কিন সংবাদমাধ্যম ওয়াশিংটন পোস্টের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বাংলাদেশে দুর্নীতি নিয়ে প্রতিবেদন করে পরিচিতি পাওয়া এক সাংবাদিককে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তার বিরুদ্ধে ঔপনিবেশিক আমলের অফিশিয়াল সিক্রেটস অ্যাক্ট লঙ্ঘনের অভিযোগ আনা হয়েছে। অ্যাসোসিয়েটেড প্রেসের বরাত দিয়ে এই প্রতিবেদন প্রকাশ করে ওয়াশিংটন পোস্ট। বার্তা সংস্থা এএফপির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বাংলাদেশে করোনা মোকাবিলা নিয়ে কাজ করা শীর্ষস্থানীয় এক প্রতিবেদককে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এ ঘটনায় বিক্ষুব্ধ সাংবাদিকরা অবিলম্বে রোজিনা ইসলামের মুক্তি দাবি করেছেন। দেশেও বিভিন্ন সংগঠনের পাশাপাশি আওয়ামী লীগ, বিএনপিসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতা-কর্মীরা রোজিনা ইসলামের মুক্তির দাবি জানান।